একাকিত্ব ও মানবেতর কষ্টে মারা গেলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়িকা সাহিনা শিকদার বনশ্রী। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরে। নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতিতে কাউকে পাশে পাননি এ অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বনশ্রী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
বনশ্রীর চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয় ‘সোহোরাব রুস্তম’ সিনেমার মাধ্যমে। অল্প সময়েই তিনি দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন।
নব্বই দশকে একাধিক হিট সিনেমায় অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন। কিন্তু অসুস্থতা ও আর্থিক সংকটের কারণে ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যান এই নায়িকা।
জীবনের শেষ সময়ে ভুগছিলেন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টে। প্রায় চোখের দৃষ্টি হারিয়েছিলেন তিনি। অভাব-অনটনে জর্জরিত জীবনের শেষ দিনগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।
চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন গ্রামে ভিক্ষা করে ওষুধ সংগ্রহ করতেন বনশ্রী। মৃত্যুর কিছুদিন আগে দেশের বিত্তবান ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের কাছে সহযোগিতা চাইলেও তেমন কোনো সাড়া পাননি।
শিবচর থানার পাঁচ্চর এলাকায় বস্তির একটি ছোট্ট ঘরই ছিল তার শেষ আশ্রয়। রান্না করতে না পারায় প্রায়ই প্রতিবেশীদের কাছে খাবার চাইতেন। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকায় থাকা একমাত্র ছেলে মায়ের খোঁজখবর নিতেন না।
একসময় লাখো দর্শকের প্রিয় এই অভিনেত্রীর জীবনের শেষ অধ্যায় কেটেছে একাকিত্ব ও মানবেতর কষ্টে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্রের এমন পরিণতি শুধু সিনেমাপ্রেমীদের নয়, সমগ্র সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্যই এক বেদনাদায়ক অধ্যায় হয়ে থাকবে। সময়