News update
  • Pakistan claims it has shot down five Indian fighter jets and a drone     |     
  • India says its strikes are of non-escalatory nature: BBC summary      |     
  • Waterways gasp for breath in Feni; 244 rivers, canals dying     |     
  • Indian Airstrikes Kill 8 in Pakistan, Mosques Hit     |     
  • Israeli crimes escalate, Gaza faces catastrophic situation     |     

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক, এলো কড়া বার্তা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-03, 7:12am

img_20250503_070946-2c3379b8e5c071bec6b75afe673a12571746234759.jpg




কাশ্মীর ইস্যুতে দিল্লি-ইসলামাবাদের চরম উত্তেজনার মধ্যে জরুরি বৈঠক করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২ মে) দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের নেতৃত্বে স্পেশাল কর্পস কমান্ডার্স কনফারেন্সে (সিসিসি) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এই বৈঠকে ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ, পাকিস্তান-ভারত চলমান উত্তেজনা এবং বিস্তৃত আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ আলোচনা হয়েছে। 

বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর অটল সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। সেইসঙ্গে পেহেলগাম ইস্যুতে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানি জনগণের সম্মান বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে সেনা সদস্যরা। 

বৈঠকে পাকিস্তান সেনাপ্রধান সশস্ত্র বাহিনীর অটল পেশাদারিত্ব, অটুট মনোবল ও অপারেশনাল প্রস্তুতির প্রশংসা করেন। তিনি সব সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা ও সক্রিয় প্রস্তুতির অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না। মোদি যদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নেন, তবে আমরা তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করব। আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন মোদি। 

বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। আরটিভি