News update
  • Stay alert against election conspiracies: Tarique Rahman     |     
  • BNP's extended meeting held in Capital Dhaka     |     
  • Khaleda urges ‘ironclad unity’ to defend mass uprising gains     |     
  • GCF Board Approves Funding of $868.8m for Projects     |     
  • UNRWA Report 161 on the Crisis in Gaza Strip and West Bank     |     

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক বহিষ্কার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-02-27, 1:42pm

fsdfwewq-030159092e43a6f1af3bd8bdb394ab4a1740642123.jpg




পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধীর ব্যানারে শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি জেলা সমন্বয়কদের নিয়ে মিথ্যাচার বক্তব্য প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলার আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী, সদস্য মো. আকিব ও মো. মনজিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজস্ব আইডিতেও এ বিষয়ে পোষ্ট দেন।

অভিযুক্ত ওই দুই সমন্বয়ক জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তারা হলেন হযরত আলী ও ওবায়দুল্লাহ (ওবায়দুল হক)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তেঁতুলিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন মো. হযরত আলী ও মো. ওবায়দুল্লাহ। কিন্তু ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে তারা বৈষম্যবিরোধীদের ব্যানার ব্যবহার করে নানান ধরনের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। একইসঙ্গে জেলা সমন্বয়কদের নিয়ে মিথ্যাচার বক্তব্য প্রদান করেন। আমরা এ ধরনের কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না। তাই শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলার পক্ষ থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তী সময়ে, তারা আমাদের কোনো কার্যক্রমে অংশ্রহণ করতে পারবেন না।

বহিষ্কারের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলার আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী জানান, বৈষম্যবিরোধীর ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন অফিসে গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তার প্রতিবাদ করায় আমাদের গুপ্ত সংগঠন ও শিবির বলে অপ্রচার চালাচ্ছে। কয়েকদিন আগে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে কারণ ছাড়াই জেলার সমন্বয়ক সান ও আমাকে মারতে এসেছে। একইসঙ্গে তারা আমাদের গুপ্ত সংগঠনের সদস্য বলে আখ্যা করছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

ফজলে রাব্বী আরও বলেন, আন্দোলনের তেঁতুলিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সব সময় তাদের প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু তারা কিছুদিন আগে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উসকানি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একক সিদ্ধান্তে ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে ডাক দিয়ে ফেসবুকে প্রচার করেন। পরে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও ইউএনওর নামের সঙ্গে আমাদের যুক্ত করে অপপ্রচার চালানো শুরু করে। যার কোনো ভিত্তি না থাকায় এবং বিভিন্ন শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলা তাদের বহিষ্কার করি।

এদিকে অভিযুক্ত হযরত আলী ও ওবায়দুল্লাহ বলছেন, সারাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা নিজেদের জায়গা থেকে সবার মতো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। আমরা কারও বাপের কথায় আন্দোলন করিনি। যে অভিযোগ তুলে আমাদের বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে সেটার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ে কোনো কমিটি নেই। আর সে কারণে তিনি বহিষ্কার করতে পারেন না। আমরা যতদূর মনে করছি জানি সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেন।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, আমি কারও পক্ষে কাজ করি না। আমি জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এখানে অনেকে অনেকভাবে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে ও করে আসছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আমি সব সময় সোচ্ছার থাকায় আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। বহিষ্কারের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যদি কারও অভিযোগ থাকে, সুনির্দিষ্টভাবে তা করুক। আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেটা তদন্ত হোক। আর যদি তদন্তে কোনোকিছু প্রমাণিত না হয় তাহলে তা অপপ্রচার হিসেবে ধরে নেওয়া হোক।

আরটিভি/