News update
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands in Dhaka     |     
  • Red bus with ‘Bangladesh first’ slogan ready at Dhaka airport for Tarique     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands at Dhaka Airport     |     

আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে বর্ষবরণ শুরু রমনার বটমূলে 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2024-04-14, 8:43am

kjhfweurwuo-f99f38705aa4e750022c9449b0c21fba1713062580.jpg




পুরোনো বছরের সব ভুল-ত্রুটি, ব্যর্থতা, গ্লানি আর না পাওয়াকে ভুলে নতুন উদ্যমে বাঁচার প্রেরণা নিয়ে বাঙালির সামনে উপস্থিত হয়েছে আরেকটি পহেলা বৈশাখ। ভোরের আলো ফুটতেই রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বাঙালির চিরায়ত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। নতুন ১৪৩১ এর প্রথম সকালটিকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী। জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনের আহ্বানে নববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ।

বছরের প্রথম দিনটির নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-আত্মজাগরণের সুরবাণী দিয়ে সাজানো হয়েছে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টার দিকে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের এবারের অনুষ্ঠান। এদিন সকালের আলো ফোটার আগে থেকে রমনার বটমূলে আনাগোনা শুরু হয় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় জোরদার করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান।

পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের চিরন্তন উৎসব, বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দিন আমাদের আপন শিকড়ের প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার দিন, বাঙালির প্রাণের উৎসবের দিন। আবহমান এই লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে ওঠে দেশের প্রতিটি শহর-গ্রাম-নগর-বন্দর। রাজধানীর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান রমনা বটমূল থেকে ছড়িয়ে পড়ে নগরজুড়ে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বৈশাখের প্রথম দিনটিতে পুরো ঢাকা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। বর্ষবরণের আনন্দ-উৎসবে মুখরিত থাকে সমগ্র দেশ।

এই একটি দিনে কোনো ভেদাভেদ থাকে না বাংলার মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। নববর্ষের উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন।

অতীতে আমরা দেখেছি কিছু ধর্মান্ধ মানুষ সাম্প্রদায়িক বিভেদের দেয়াল তুলে দিতে চেয়েছে বর্ষবরণের উৎসবে। কিন্তু বাঙালি জাতি কোনো দিনই তা মেনে নেয়নি। সব ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই বাংলার প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি ঘরে উদযাপিত হয়েছে নববর্ষের উৎসব। বাঙালির সংস্কৃতি ধ্বংসের যে অপচেষ্টা তদানীন্তন পাকিস্তানে শুরু হয়েছিল, তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে যে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছিল ছায়ানট, তা আজও বাঙালির এক অমলিন ঐতিহ্য। অপশক্তির বোমা হামলাও ছায়ানটের এই যাত্রাকে থামাতে পারেনি। বরং বাঙালির প্রাণের এই উৎসব আজ বিশ্ব ঐতিহ্যেরই অংশ হয়ে গেছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।