
নবম জাতীয় পে-স্কেলের গ্রেড সংখ্যা নিয়ে তিন ধরনের চিন্তাভাবনা করেছেন কমিশনের সদস্যরা। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভায় গ্রেড সংখ্যা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) পে-কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীদের ২০টি গ্রেড রয়েছে। কমিশনের অনেক সদস্য মনে করেন বিদ্যমান গ্রেড সংখ্যা একই রেখে যৌক্তিক হারে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করতে। তবে এখানে ঘোর আপত্তি রয়েছে কমিশনের আরেকটি অংশের। তারা মনে করেন, গ্রেড সংখ্যা ২০টি থেকে কমিয়ে ১৬টি করা উচিত।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেড সংখ্যা ১৬টি করতে অনেক সদস্য একমত হলেও সদস্যদের আরেকটি অংশ চাচ্ছে নবম পে-স্কেলের গ্রেড সংখ্যা ১৪টি করা হোক।
এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, গ্রেড সংখ্যা অধিক হওয়ায় বেতন বৈষম্য বেশি হতে পারে। এজন্য গ্রেড সংখ্যা কমানোর পক্ষে তারা।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পে-কমিশনের এক সদস্য বলেন, কমিশন এখনো বেশ কিছু বিষয়ে একমত হতে পারেনি। এর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রেড সংখ্যা নির্ধারণ। গ্রেড সংখ্যা আগের মতোই থাকবে নাকি কমানো হবে সে বিষয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের সভায় আলোচনা হবে। গ্রেড সংখ্যার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হলে কমিশনের সব সদস্যের এ বিষয়ে একমত পোষণ করতে হবে।
বুধবারের সভায় কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আলোচনা হবে অনেক বিষয় নিয়েই। তবে মূলত বেতন গ্রেড কতটি হবে, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন কত নির্ধারণ করা হবে—এ দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে। বিষয়গুলো চূড়ান্ত হলে কমিশন দ্রুত তাদের সুপারিশ জমা দিতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে নবম পে-স্কেলের প্রস্তাবনা প্রস্তুতির জন্য কমিশন গঠন করা হয়। ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, কর্মচারীরা ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যেই নতুন গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন।