News update
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands in Dhaka     |     
  • Red bus with ‘Bangladesh first’ slogan ready at Dhaka airport for Tarique     |     

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন : জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে জনস্রোত!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-12-25, 12:18pm

fsdfwerewr-130a20a3aa365bde04a3400578d022e31766643539.jpg




বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট) এখন লোকে লোকারণ্য। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারেক রহমানের আসার অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মিত সংবর্ধনাস্থলকে কেন্দ্র করে জনস্রোত।

এ সময় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের 'বগুড়ার মাটি, তারেক ভাইয়ের ঘাঁটি', ‘মা, মাটি ডাকছে; তারেক রহমান আসছে’, 'তারেক ভাই বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে' ‘তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’-এমন নানা স্লোগানে চারপাশে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ।

নেতাকর্মীরা জানান, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতেই তারা ঢাকায় এসেছেন। বুধবার সকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মঞ্চ এলাকা পরিদর্শন এবং অবস্থান নিচ্ছেন।

রাজশাহী থেকে আসা শফিকুল বলেন, দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতা দেশে ফিরছেন, এ কারণেই এই বিপুল উপস্থিতি।

আরেক সমর্থক মিরাজ হাসান জানান, একনজর তারেক রহমানকে দেখার জন্যই তারা আগেভাগে ঢাকায় এসেছেন এবং রাত কাটিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।

বগুড়া থেকে আসা শামসুল বলেন, গতকাল দুপুরে এসেছি। সারারাত রাস্তাতেই ছিলাম। বাইরে অনেক ঠান্ডা। তবু বসে আছি সবার সঙ্গে।

ভোলা থেকে এসেছেন মহসিন। তিনি জানান, নেতাকে একনজর দেখতে এতদূর থেকে ছুটে এসেছি। দেখতে পেলে সব কষ্ট স্বার্থক হবে।

এদিকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারেক রহমান সরাসরি ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে বিএনপির আয়োজিত গণ-সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। সেখানে তিনিই একমাত্র বক্তা থাকবেন। সংবর্ধনা শেষে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।

সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে সিলেটে অবতরণ করে বিমানটি। এরপর প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ডের পর বিমানটি সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ১২টার আগে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে বিএনপি। কুড়িল মোড়সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ।

বিমানবন্দরে নামার পর ভিআইপি লাউঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন তিনি। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান-২ নম্বরে বাসভবনে চলে আসবেন।

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় আটক হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দি ছিলেন তারেক রহমান। মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান। সে বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আসার পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় তার। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা হয়নি আর। অবশেষে দীর্ঘ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরলেন তারেক রহমান।