গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন ১২ জনকে আটক গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। তবে তাদের কাউকে এখনও গ্রেপ্তর দেখানো হয়নি।
রোববার (৪ মে) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার (৫ মে) সকালে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এ ছাড়া রাতে আটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
এর আগে, হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় ৪ জনকে আটকের কথা জানায় জিএমপি কমিশনার ডিআইজি ড. মো. নাজমুল করিম খান।
আটকদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- গাজীপুর মহানগর যুবলীগের সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন এবং কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ দিপু। তবে আটক বাকি দু’জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশের দাবি, নিজাম উদ্দিন গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা। এছাড়া মাসুম কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাতের ওপর হামলার কথা জানান এনসিপি’র আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। হাসনাতের লোকেশন জানিয়ে তাকে উদ্ধারে দলের নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা চালিয়েছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন, কমেন্টে লোকেশন দিচ্ছি।
সারজিসের পোস্ট অনুযায়ী, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাতের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে হামলার ঘটনার পর হাসনাত আব্দুল্লাহকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। রাত ১০টার দিকে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শত শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। আরটিভি