বিএনপিকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ নাটোর জেলা শাখার আয়োজনে স্বাধীনতা সার্ভভৌমত্ব বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আমাদের নিজস্ব আত্মপরিচয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব শিখিয়ে গেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সুসংগঠিত করেছেন। বিএনপি জনসম্পৃক্ত দল, জনগণের পক্ষের দল। এ দল নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলবে না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে তারা আজ কোথায়?
এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের কিছু উপদেষ্টা সংস্কার নিয়ে কথা বলছেন। সংসদে বসে বসে সংস্কার করে তা সংশোধন করা হয়েছে। তাহলে কেন এত সংস্কারের কথা বলছেন? আপনারা বলছেন, বিএনপি তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চাচ্ছে। সংস্কার একটি রাজনৈতিক অঙ্গিকার। যে দল নির্বাচিত হবে, সে দল বাকি সংস্কার করবে।
বিএনপি সিনিয়র এ নেতা বলেন, সংস্কার একবারে হয় না। সংসদে আলোচনার মধ্যে সংস্কার হয়। বর্তমান সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ৮ মাস হয়ে গেছে। যদি ডিসেম্বরের সরকার সংসদ নির্বাচন দেয়, তাহলে ৮ মাসের মতো বাকি আছে। তাহলে সংস্কার করতে আর কত সময় লাগতে পারে? বর্তমানে যেটাই সংস্কার করুক, সেটা পরবর্তী সংসদে পাস করতে হবে।
সংস্কারের কথা বলে কার লাভ হচ্ছে, প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, সংস্কারের নামে ধোয়াশা তৈরি করে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহকারী সব দল ও ছাত্র-জনতার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করা হলে ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন শেখ হাসিনা জাদুঘরে পাঠিয়েছিলেন। বর্তমান সকরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা বলেছিলেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছে তা তারা সারাজীবন মনে রাখবে। সে কথা দেশের মানুষ আজ বুঝেতে পারছে। যার জন্য আজ পালিয়ে যাওয়া হাসিনাকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে ভারত। বাংলাদেশকে আবার কব্জার মধ্যে নেওয়ার জন্য ভারত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
নাটোর জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
এছাড়া আরও বক্তব্যে রাখেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদসহ পরিষদের নেতারা।আরটিভি