News update
  • Prof Yunus back home after his week-long Doha, Rome visits     |     
  • 5 of a family burn injuried in Gazipur gas cylinder blast      |     
  • River erosion threatens south Padma Bridge Project Site     |     
  • Dr Kamal urges vigilance on his 88th birthday      |     
  • Dhaka’s air ‘moderate’ for the second day on Sunday     |     

আইএমএফের ঋণের কিস্তি না পেলে ক্ষতি হবে না: গভর্নর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-04-27, 10:36am

etewrwerwq-e056975a00750a2a08ded310f54218271745728604.jpg




আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ এখন দেশের অর্থনীতির জন্য খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয়, তাদের ঋণের কিস্তি না পাওয়া গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় শুক্রবার আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে গোলাম মোর্তোজা গভর্নরের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন। 

গভর্নর বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ এখন দেশের অর্থনীতির জন্য খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয়। তাদের ঋণের কিস্তি না পাওয়া গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না। দেশের অর্থনীতি যেমন আছে, তেমনই চলবে। বাংলাদেশের লক্ষ্য নিজস্ব আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার স্বাধীনভাবে বাস্তবায়ন করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান সংস্কার নিয়ে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বে একটা ঝড় বইছে। এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে এবং বাংলাদেশে কতুটুক পড়বে, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ জন্য আইএমএফও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এসব কারণে তাদের সঙ্গে সমাধানের গন্তব্যে এখনও যাওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু জায়গায় তাদের আরও কাজ করতে হবে। তাদের সঙ্গে দরকষাকষি বা নীতি আলোচনা চলছে। কিস্তি পাওয়া গেলে ভালো। না পেলেও কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে এখনও ঐকমত্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পৌঁছাতে না পারলে খুব একটা অসুবিধা হবে, তাও নয়। বাংলাদেশের অবস্থা ভঙ্গুর নয়। যদি ঋণ না হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।

কোন ইস্যুতে মতপার্থক্য জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, কর রাজস্বের বিষয়ে এখন আর সমস্যা নেই। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার। বিনিময় হার ইস্যুতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। বাজার স্থিতিশীল। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি করা লাগছে না। বাজারে হস্তক্ষেপও করা হচ্ছে না। এখন অহেতুক বাজার অস্থিতিশীল করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রেই আমরা দোটানায় রয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে যেসব শর্ত গ্রহণযোগ্য হবে, সেসব শর্তের ভিত্তিতে ঋণ নেব। আমরা তো শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান হয়ে যাইনি যে ঋণ নিতেই হবে। ছয় মাস আগে অবস্থা কিছুটা খারাপ থাকলেও এখন ঋণ নিতেই হবে, এমন অবস্থায় নেই। 

আইএমএফ ঋণ থেকে সরে গেলে অন্য দাতা সংস্থা অর্থায়নে সমস্যা হয় কি না– জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফের প্রত্যয়ন প্রয়োজন হয়। তবে বাজেট সহায়তা আর না নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কারণ, প্রকল্প ঋণ বিনিয়োগের মাধ্যমে সামাজিক ও আর্থিক রিটার্ন পাওয়া গেলেও বাজেট সহায়তায় তা পাওয়া যায় না।

চলতি মাসে ঢাকায় আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সফরে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার ছাড়ের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর নমনীয় করা ও কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়নি। বর্তমানে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।আরটিভি