News update
  • Israel Isolates Gaza, Butchers 508 Palestinians in One Week      |     
  • BNP disapproves Nat’l Const Council formation: Salahuddin     |     
  • Khaleda taken to Evercare Hospital for health check-up     |     
  • Iran Won’t Accept Forced War or Surrender: Khamenei     |     
  • Israeli strikes killed 585 people in Iran, HR group says     |     

নড়বড়ে দেশের অর্থনীতি, কারখানা বন্ধে বাড়ছে বেকারত্ব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-06-18, 11:21am

img_20250618_111909-bff477cf1fba10cd998e1921272986391750224114.jpg




গত ১০ মাসে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। একদিকে কমেছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, অন্যদিকে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে বেকারত্ব। এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদ এবং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

শিল্প পুলিশের তথ্যানুযায়ী, প্রধান তিন শিল্প এলাকা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী এবং সাভার-ধামরাই এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন অন্তত ৬০ হাজারের বেশি কর্মী।

বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩% পর্যন্ত নেমে আসতে পারে, যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যহারে কমবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৭০%-এর বেশি।

গত এপ্রিল মাসে বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্রের কবলে পড়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর টাকা পাচারকারী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর অনেকেই পালিয়ে গেছেন। সেখানে বড় সুযোগ ছিল পুরো কাঠামোকে ঢেলে সাজানোর, কিন্তু তা হয়নি। আগে যে নিয়মে অর্থনীতি চলে এসেছে একই ধারা বজায় রাখায় বর্তমানেও কোনো সুফল আসেনি।  

তিনি আরও বলেন, যারা কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন, তাদের অনেকেই বিগত সরকারের আমলে অবৈধ সুবিধাভোগী মানুষ। শতাধিক কলকারখানা বন্ধ হওয়ায় নতুন করে কয়েক লাখ লোক বেকার হয়েছেন। শাস্তি সুবিধাভোগীরা পাবে কিন্তু যারা এসব কারখানায় কাজ করেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না রাখা বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ না। এর প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য বলেও জানান তিনি।   

বেশিরভাগ কারখানা জ্বালানি সংকটে ভুগছে জানিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালক আশরাফ আহমেদ বলেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে কারখানা চালানো দিনকে দিন কঠিন হয়ে উঠেছে। কারখানায় উৎপাদন কম হলে এর প্রভাব সরাসরি অর্থনীতিতে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এলেও বাকি খাতগুলো এখনো নড়বড়ে। দেশের অনেক ব্যাংক এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে, তারা ব্যবসায়ীদের অর্থের জোগান দিতে পারছে না। অন্যদিকে প্রায় ১৬% হারে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালানো রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। 

সংকট উত্তোরণে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগ, ব্যাংক এবং জ্বালানির যে-সব সমস্যা দেখা যাচ্ছে, এগুলো বিগত সরকারের আমলের দীর্ঘদিনের অনিয়মের ফসল, যার ফলাফল ভোগ করতে হচ্ছে এখন।   আরটিভি