News update
  • Journos should strengthen themselves to secure rights: Fakhrul     |     
  • Hong Kong’s deadliest fire in a century: How it spread     |     
  • Khaleda ‘moved to Evercare CCU     |     
  • Sea ports asked to keep hoisted distant cautionary signal No 1     |     

আটকেপড়া নভোচারীদের উদ্ধারে মহাকাশযান পাঠালো চীন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-11-26, 8:58am

8660e7f30902bd1dc2f6d3470ad5ee85019bc1007c1cb3c3-dfc493b8642a9a6d3277dc68e94a71971764125905.jpg




তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে আটকেপড়া তিন নভোচারীকে উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে একটি মানববিহীন মহাকাশযান পাঠিয়েছে চীন। আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেনঝো-২২ নামের মহাকাশযানটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভিতে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, লং মার্চ-২ এফ রকেটে করে শেনঝো-২২ মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। শেনঝো-২২ মিশনে মূলত ২০২৬ সালে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে নভোচারীদের উদ্ধারে আগেই উৎক্ষেপণ করা হলো।

গত ৫ নভেম্বর মহাকাশযান শেনঝো-২০ মহাকাশ আবর্জ্যনার (স্পেস ডেব্রি) আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা বর্তমানে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আবর্জ্যনার আঘাতের ফলে মহাকাশযানটিকে নভোচারী পৃথিবীদের ফেরানোর কাজে অনিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর ফলে চলতি মাসে চীনা মহাকাশ স্টেশনে নিয়মিত নভোচারী পরিবর্তন ব্যাহত হয়। শেনঝো-২০-তে করে ঘরে ফিরতে না পারায় তিন চীনা নভোচারী, যারা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ছয় মাসের জন্য মহাকাশে এসেছিলেন, তাদের পৃথিবীতে ফিরতে আরেক মহাকাশযান শেনঝো-২১ ব্যবহার করতে হয়।

গত ১ নভেম্বর এই শেনঝো-২১-তে করেই নতুন তিন নভোচারী মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান। যাদের মধ্যে চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী নভোচারীও রয়েছেন। তাদের সঙ্গে গবেষণার অংশ হিসেবে চারটি ইঁদুরও পাঠানো হয়।

তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে থাকা তিন নভোচারীর কাছে এখন জরুরি পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে ফেরার জন্য উপযুক্ত কোনো মহাকাশযান নেই। মানববিহীন শেনঝো-২২ সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে।

চীনা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, মহাকাশ স্টেশনের তিন নভোচারী- ঝাং লু, উ ফেই ও ঝাং হংঝাং - ‘তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন’। তবে ঘটনাটি চীনের দ্রুত বর্ধনশীল মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি বিরল ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে যখন দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।