পিএসজির ঐতিহাসিক শিরোপা জয়ের উৎসব রূপ নিল সহিংসতায়। ফ্রান্সে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান সমর্থকরা। নিহত হয়েছেন দুজন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক সমর্থক। খবর বিবিসির।
মিউনিখে তখন ইতহাস গড়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেরা যা পারেননি, তাই করে দেখিয়েছেন এনরিকের নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ ফুটবলার। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর ৮৪১ কিলোমিটার দূরের শহর প্যারিসে শুরু হয়ে যায় উৎসব। উৎসবে সামিল হতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন নানা বয়সি সমর্থক।
ইন্টার মিলানের স্বপ্ন ভেঙে পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পরই প্যারিসে বাঁধভাঙা উদ্যাপনে মাতেন সমর্থকরা। তবে, হঠাৎ করেই আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে। শুরুতে জমকালো আতশবাজির সঙ্গে বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে উদ্যাপন। তবে, একসময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তারা। ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন স্থাপনা। ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।
গাড়ির ধাক্কা ও ছুরিকাঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। চ্যাম্পস ইলিসেস থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কারের ধাক্কায় নিহত হন এক স্কুটার চালক। দক্ষিণ পশ্চিমের আরেক শহরে ১৭ বছর বয়সি কিশোর ছুরিকাঘাতে মারা যান। বিজয় উদযাপনের সময় ওই কিশোরকে আঘাত করে পালিয়ে যায় আততায়ী। প্যারিস ছাড়াও বিভিন্ন শহরে দুইশর বেশি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত প্রায় সাড়ে ৫০০ জন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আতশবাজির কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন লেগে যায়। উৎসবে মেতে ওঠা জনস্রোতের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। শুধু সাধারণ জনসাধারণই নন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও গুরুতর আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুরো ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।