ফারমিন লোপেজের ফ্রি কিক ও ইনিগো মার্টিনেজের মাথা ঘুরে আসা বলে পাও কুবার্সি আলতো করে যে টাচ দিয়েছিলেন, তাতেই গোল হচ্ছিল। রাফিনহা মুহূর্তের উত্তেজনায় গোলমুখে ঢুকতে থাকা বলে আরেকটু পা লাগান। এটা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার ১২তম গোল, অবশ্যই সবার মধ্যে সর্বোচ্চ।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বার্সেলোনার ওই গোল ম্যাচের ২৫ মিনিটে। বিরতির পর তিনজনের নান্দনিক কারিশমায় যে গোলটি হয়, তাতেও রাফিনহার অবদান। লামিনে ইয়ামালের সুড়ুৎ করে ভাসিয়ে দেওয়া বলে তিনি হেড করলে আবার আরেক হেডে রবার্ট লেওয়ান্ডোভস্কি গোল নিশ্চিত করেন। রাফিনহা পরে আরেকটি অ্যাসিস্ট করেন। যা এই আসরে তার সপ্তম অ্যাসিস্ট। এখানেও শীর্ষে ব্রাজিলিয়ান তারকা, দুইয়ে যৌথভাবে যে চারজন আছেন, তাদের চেয়ে ২টি বেশি।
এক গোল ও জোড়া অ্যাসিস্ট মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে রাফিনহার পরিসংখ্যান দাঁড়ালো ১৯-এ। এর মাধ্যমে তিনি লিওনেল মেসির রেকর্ডে ভাগ বসালেন। ক্যারিয়ার সেরা ২০১১-১২ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসিও ১৯ গোলে অবদান রেখেছিলেন, যা বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ১৫ এপ্রিল সেই রেকর্ড এককভাবে নিজের নামে লেখার সুযোগ রাফিনহার।
রাফিনহা গোল-অ্যাসিস্ট পাওয়ার রাতে জোড়া গোল করেছেন লেওয়ান্ডোভস্কি। তাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া বিধ্বস্ত হলো ৪-০ গোলে। একটি গোল লামিন ইয়ামালের।
তিনজনের কারিশমায় বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলের মতো লামিনে ইয়ামালেরটিও চোখে লেগে থাকার মতো। রাফিনহার লম্বা করে বাড়ানো পাসে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় বাধা দিতে যাবেন, এমন সময় চোখের পলকে বল জালে পাঠিয়ে দেন ১৭ বছর বয়সি তরুণ। সময়।