
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটন খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম। মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল, বিশ্ব র্যাংকধারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই চুক্তিগুলো সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে আয়োজিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার পর্যটন উপমন্ত্রী খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ এবং পাসপোর্ট উইং এর প্রধান ইয়াছিন কবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে বাস্তবমুখী সম্পর্ক জোরদার করার এবং তিন খাতে নতুন একটি সম্ভাবনার সৃষ্টি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ৯২৯ জন বাংলাদেশি পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন যা গত বছরের তুলনায় ১২৭.৮ শতাংশ বেশি।
এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশি প্রবাসীরা এখন থেকে জোহর মেডিকেল গ্রুপ (কেপিজে), কেএল ফার্টিলিটি সেন্টার, প্রিন্স কোর্ট মেডিকেল সেন্টারসহ মালয়েশিয়ার নামকরা হাসপাতালগুলোতে সরাসরি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এক্সপ্যাট ট্রাভেল ও টুরিজম রোগীদের জন্য 'এক ছাতার নিচে' সেবা নিশ্চিত করবে যার মধ্যে থাকবে ভিসা সহায়তা, হাসপাতালে সমন্বয়, থাকার ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা পরবর্তী যত্ন।
অন্যদিকে চুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো শিক্ষা খাত। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এক্সপ্যাট এডুকেশন সার্ভিসের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজ ও নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়ায় ভর্তি হতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটি কাঠামোবদ্ধ ভর্তি ব্যবস্থা, তথ্য যাচাই এবং গাইডেন্স প্রদান করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা মালয়েশিয়ার আধুনিক পরিবেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
ইএসকেএল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়াস আহমদ বলেন, তারা মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি বিশ্বাসের সেতু তৈরি করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর ও স্থায়ী করবে।