আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে। আমাদেরকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি লোক নেবেন তারা। এমন আশ্বাস পেয়েছি আমরা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ও উপসচিব মো. সারওয়ার আলমকে নিয়ে গতকাল বুধবার মালয়েশিয়া সফরে যান। শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রতিনিধি দলটি মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
মালয়েশিয়া আগামী বছরগুলোতে ‘বড় সংখ্যায়’ বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মীদের বেতন, নিরাপত্তা ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার আশ্বাসও দিয়েছে দেশটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈঠকে দুটি মূল বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়—মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা এবং একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধীনে নতুন কর্মী পাঠানোর সুশৃঙ্খল রূপরেখা তৈরি করা।
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ‘মালয়েশিয়ার চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কর্মীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।'
সমঝোতার অংশ হিসেবে, মালয়েশিয়া আগামী কয়েক বছরে কয়েক লাখ কর্মী নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে কোনো খরচ ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। আগামী ২১ মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় যৌথ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এনটিভি।