ঘন ঘন কারিগরি সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। ২৮ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট। এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক তিন রুটে কারিগরি সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ বিমানের তিনটি ফ্লাইট। এতে আতঙ্ক আর সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৮ জুলাই দাম্মামগামী বিমানের বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকায় ফিরে আসে। বোয়িং ৭৭৭-ইআর মডেলের উড়োজাহাজটি আকাশে এক ঘণ্টা ওড়ার পর পাইলট ত্রুটি শনাক্ত করেন এবং বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে সেটি ঢাকায় অবতরণ করে।
৬ আগস্ট বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটটি। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটি যখন মিয়ানমারের আকাশে প্রবেশ করে, তখন এর এক ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক কম্পনের সংকেত পান পাইলট। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ঢাকায় ব্যাক করা হয় ফ্লাইটটি। পরে সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে আরেকটি ফ্লাইটে ব্যাংককে পাঠানো হয় ১৪৬ যাত্রীকে।
এমন ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দুঃখজনক হলেও সত্য, টয়লেটের ফ্লাশ কাজ না করায় এক ঘণ্টা আকাশে উড়ার পর ঢাকায় ফেরানো হয় আবুধাবীগামী বিমানের বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটি। ৭ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। কিন্তু আকাশে উড়োজাহাজে থাকা তিনটি টয়লেটের সব ফ্লাশ কাজ না করায় ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।
হরহামেশায় রাষ্ট্রীয় এই ক্যারিয়ারের এমন দুর্দশা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) এটিএম নজরুল ইসলাম। নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত পরীক্ষা করলে এমনটা ঘটার আশঙ্কা অনেকটা কম।’
আকাশ পথের যাত্রীসেবাকে আস্থাভাজন করে পরিসেবা দেয়ার দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের।