News update
  • Gold price goes up again in Bangladesh     |     
  • Suicide bomber targets Islamabad court, killing 12 people, wounding 27     |     
  • Irregular entry, false asylum claims harm Bangladesh’s global standing     |     
  • Dhaka breathes ‘very unhealthy’ air Tuesday morning     |     
  • Election Code of conduct gazetted, banning posters-drones, AI misuse     |     

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2025-04-12, 6:55pm

qwrqwe-61a07fd1ca90b78f4f8a7ca6bb72365f1744462530.jpg




কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এ যাবতকালের সকল রেকর্ড ভেঙে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত। 

এর আগে সকাল ৭টায় সিন্দুক খোলার পর দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা গণনা শেষে বিকেল ৫টায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যায়। এ নিয়ে এই পর্যন্ত মোট দানের পরিমাণ দাঁড়াল ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ টাকা। যা স্থানীয় একটি ব্যাংকে জমা রয়েছে।

শনিবার ৪ মাস ১১ দিন পর ১১টি দানসিন্দুক খোলা হয়। পরে সকাল ৯টায় মসজিদের ২য় তলার মেজেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। এর আগে ব্যাংকে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা ছিল।

সিন্দুক খোলার পর সবার চক্ষু চড়কগাছ। সিন্দুক থেকে বের হয়ে আসে কাড়ি কাড়ি টাকা। বস্তার অংকে টাকার পরিমাণ দাড়ায় ২৮ বস্তা। গণনায় অংশ নেয় ২৪৭ জন শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন শিক্ষক, ১৪ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ৮০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রতিবার তিন মাস পর পর খোলা হলেও এবার ৪ মাস ১১ দিন পর খোলা হয়েছে।

এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে থাকেন। আর এই জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন দান করতে ছুটে আসেন। শুধু টাকা পয়সা না, এখানে টাকার পাশাপাশি সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রাও দান করে থাকেন। প্রতিদিন বিপুল-সংখ্যক গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।

সিন্দুক খোলার সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, মসজিদের দান সিন্দুক থেকে পাওয়া টাকা গুলো ব্যাংকে রাখা হয়। এবং সেখান থেকে যে লভ্যাংশ পাওয়া হয় তা দিয়ে এই অঞ্চলের মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। একই সাথে জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত মানুষদের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে যাচাই বাচাই শেষে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে মসজিদ ঘিরে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবং সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করা হচ্ছে। ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রায় ১১৫/১২০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। যেখানে একসঙ্গে ৩০ হাজারের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। থাকবে ইসলামি গবেষণা কেন্দ্র, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।

তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছর যাবত এই মসজিদের কোনো খাজনা ও ভূমি কর দেওয়া হয়নি। গতমাসে তা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এই জায়গাটুকু পাগলা মসজিদের নামে নামজারি করা ছিল না। সেটিও করা হয়েছে। কিছু জায়গা রয়েছে পাগলা মসজিদের ভেতরে যেগুলো এখনও ব্যক্তি মালিকানাধীন রয়েছে যদি একটি আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স করতে চাই তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটুকু আমাদের আওতাভুক্ত আনতে হবে। তার জন্য ওয়াকফ বরাবর চিঠি লেখা হয়েছে। অনুমোদন পেলে জায়গা ক্রয় করে ইসলামিক কমপ্লেক্স স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।আরটিভি