News update
  • Sewage, trash, disease overwhelm displaced communities in Gaza     |     
  • World leaders rally for ‘full-speed’ climate action ahead of COP30     |     
  • Chel Snakehead: A Fish That Time Forgot, Rediscovered     |     
  • Investment Summit Touts Bangladesh’s FDI Promise     |     
  • World Bank Cuts South Asia Growth Forecast     |     

এলএনজি সরবরাহে চুক্তি নবায়ন করবে কাতার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2025-04-23, 7:44am

t34534-16e8d5c960956bed6662492df44132711745372692.jpg




বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত সম্প্রতি মেয়াদ শেষ হওয়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়নে সম্মত হয়েছে কাতার। একইসঙ্গে বাংলাদেশে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ নিয়ে কারিগরি কাজ এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি আর্থনা সামিটের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চাই এবং তা অব্যাহত রাখব।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাসের সঙ্গে বাংলাদেশ ১৫ বছরের জন্য ১.৫-২.৫ মিলিয়ন টন প্রতি বছর এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে একটি বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ৪০টি কার্গো আমদানি হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় একটি এলএনজি এসপিএ স্বাক্ষরিত হয়, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং এর আওতায় অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি প্রতি বছর সরবরাহ করা হবে।

এলএনজি এসপিএ সংক্রান্ত এমওইউ জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হয়, এর প্রেক্ষিতে কাতার নতুন করে নবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী কাবি বলেন, আমরা এমওইউ সই করতে প্রস্তুত। তিনি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, কাতার তাদের উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে, যার ফলে এলএনজির দাম হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরবরাহ নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিই সবচেয়ে ভালো সমাধান বলে কাতারের মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় তার জ্বালানি সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে চায়। আমাদের জ্বালানি খাতকে পুনর্গঠনের জন্য আপনাদের সহায়তা দরকার।’

বৈঠকে উপস্থিত জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বাংলাদেশ কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহ ও আর-এলএনজি বিতরণের পরিকল্পনা করছে, যা দেশের জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের এলএনজি টার্মিনালগুলো বছরে ১১৫টি কার্গো পরিচালনা করতে পারছে এবং কাতার থেকে কার্গোর সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বৈঠকে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশে ইউরিয়া সারের সরবরাহও বাড়াতে চায়।

বৈঠকে পররাষ্ট উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।