
রাজধানীর বাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। তবে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে শীতকালীন সবজিসহ বেশকিছু সবজির বাজার।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত মাসেরে মতোই ডিসেম্বরের শুরুতেও আবার রাজধানীতে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ঠেকেছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
ফের পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। তারা বলছেন, দাম কিছুটা কমে পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ফের বাজার অস্থির করার পাঁয়তারা করছেন।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ সংকটে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিবুল বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ একদমই কমে গেছে। এতে পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায়ও প্রভাব পড়েছে।
এদিকে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। মানভেদে খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গত সপ্তাহে পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে; এখন তা ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে শিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি শালগম ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিপিস মাঝারি ফুলকপি ও বাঁধা কপি ৩৫-৪০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাজারে আমদানি করা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তবে বাজারে বাড়তি দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ক্রেতারা। বাজারে লিটারে ৬-৭ টাকা বেড়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।
তবে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।