কাজ শুরু করেছে জাতীয় বেতন কমিশন- ২০২৫। একটি ন্যায়সঙ্গত ও কার্যকরী বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে অনলাইনে মতামত গ্রহণের জন্য কমিশন ৪টি প্রশ্নমালা তৈরি করেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এর সদস্য সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিকীর সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু চাকরিজীবীদের জন্য একটি, সর্বসাধারণের জন্য একটি, প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি এবং অ্যাসোসিয়েশন/সমিতির জন্য একটিসহ মোট ৪টি প্রশ্নমালায় সংশ্লিষ্ট যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকল প্রশ্নমালা কমিশনের ওয়েবসাইট paycommission2025.gov.bd -এ পাওয়া যাবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আগ্রহী চাকরিজীবী/ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/সমিতি উক্ত প্রশ্নমালা অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন। অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির কেউ কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক হলে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির জন্য নির্ধারিত প্রশ্নমালা পূরণ করে জানাতে পারবেন। জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫ সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে সরকারি কর্মচারীর বেতন সমন্বয় করতে গত ২৭ জুলাই ২৩ সদস্যের ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে সরকার। বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এ কমিশন। কর্মচারীর পরিবারের সদস্য ছয় জন ধরে আর্থিক ব্যয় হিসাব করতে বলা হয়েছে। আজকের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে কমিশন।
জানা যায়, এ কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে। তবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিষয়টি জাতীয় বেতন কমিশনের বাইরে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০টি বেতন গ্রেড রয়েছে। প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এ পে স্কেল অনুসারে বেতন-ভাতা পান।