আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৪ রানে দুরন্ত জয়ের হাত ধরে, টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ তাদের অপরাজিত থাকার দৌড় অব্যাহত রেখেছে। গ্রুপ- ‘এ’-র তিনটি ম্যাচই তারা জিতেছে। গ্রুপ টপার হওয়ার কারণে, ভারত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গ্রুপ- ‘বি’-র দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে।
অন্যদিকে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে তাদের বাকি গ্রুপ-পর্বের ম্যাচগুলি বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়। যে কারণে তারা দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে। খেলা হলে হয়তো সেমিফাইনালের সূচি অন্য রকম হতে পারত। এদিকে অন্য সেমিফাইনালে বুধবার (৫ মার্চ) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা আর নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার নিয়ে ষষ্ঠবারের মত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলবে ভারত। আগের পাঁচবারের মধ্যে চারবারই সেমিফাইনালের বাঁধা টপকিয়েছে ভারত। একবার টিম ইন্ডিয়াকে সেমি থেকে বিদায় নিতে হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আসরের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল ভারত। ২০০০ সালে নাইরোবিতে পরের আসরের সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৫ রানে হারায় টিম ইন্ডিয়া।
এ ছাড়া, ২০০২ সালে পরের আসরের সেমিতে কলম্বোতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০ রানে হারায় ভারত। ফাইনাল ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকার সাথে শিরোপা ভাগাভাগি করে টিম ইন্ডিয়া।
তবে, ১১ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ভারত। কার্ডিফের ওই সেমিফাইনালে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে টিম ইন্ডিয়া। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ট্রফি জিতে ভারত।
বাসসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে সর্বশেষ আসরের সেমিফাইনালেও জয় পায় ভারত। বার্মিংহামের ঐ সেমির ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। ফাইনাল উঠলেও পাকিস্তানের কাছে ১৮০ রানে হেরে যায় ভারত।
অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পঞ্চম সেমিফাইনাল খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্যে আগের চারবারের সেমিফাইনালে দু’বার করে জয়-হারের স্বাদ পায় অসিরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুই আসরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। ২০০২ সালে প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে অসিরা। কিন্তু কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেমিতে শ্রীলংকার কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া।
পরের আসরে ২০০৪ সালেও সেমিফাইনালে উঠে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে হেরে যায় অসিরা।
পরপর দুই আসরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া পরের দুই আসরে শিরোপা জিতে ঘরে ফিরে তারা। ২০০৬ সালে মোহালিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩৪ রানে এবং ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, ফাইনাল ম্যাচ রয়েছে ৯ মার্চ। হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী ভারত তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচই দুবাইয়ে খেলেছে। এখন ভারত যদি ফাইনালে ওঠে, তার উপর নির্ভর করবে ৯ মার্চের ভেন্যু। রোহিত শর্মার টিম ফাইনালে উঠলে, ম্যাচটি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে । আর যদি তারা সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যায়, তবে ফাইনালটি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে।আরটিভি