News update
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     
  • Sirajganj’s luxuriant mustard fields bloom as an oasis of gold     |     

হতাশার একই গল্প লিখে প্রোটিয়াদের কাছে হার বাংলাদেশের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-10-24, 1:55pm

rwrwer-299d09ecbb36bab9e3c30db8acae26521729756539.jpg




প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং দুর্দশাই হারের দুয়ারে ঠেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। মাঝে তাইজুল ইসলামের দাপুটে বোলিং আর মেহেদী হাসানের মিরাজের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরেছিল ঠিক। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল বদলাতে পারেনি। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

লম্বা সময় ব্যাট করে লড়াই চতুর্থ দিনে খেলা নিয়ে যান মিরাজ। কিন্তু চতুর্থ দিন এসে আর লড়াই করতে পারেননি। দিনের ২৫ মিনিটের মাথায় ৩০৭ রানে বাংলাদেশ হয় অলআউট। তাতে ১০৬ রানের টার্গেট পরে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। এই রানের জবাব দিতে স্রেফ ৮৮মিনিট সময় নিয়েছে প্রোটিয়ারা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে মাত্র তিন উইকেট হারিয়েই স্বস্তির জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ২৯ অক্টোবর পরের ম্যাচ গড়াবে চট্টগ্রামে। 

৮১ রানের লিড নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিন শুরু করে বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটার মিরাজ ও নাঈম। হাতেও ছিল দুটি উইকেট। অথচ লিডের সঙ্গে আজ মাত্র ২৪ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ।    

আজ দিন শুরুতেই বাংলাদেশ হারায় নাঈমকে। নতুন বলে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। তার ইনসুইং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন নাঈম হাসান। ১৬ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। 

এরপর বাংলাদেশকে হতাশ করেন তাইজুল। উইকেটে এসে ৭ রানে প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দেন। মাল্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ তাইজুল ইসলাম। 

তাইজুল যখন সাজঘরে ফেরেন তখন উইকেটে থাকা মিরাজ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে। তার শেষ সঙ্গী হিসেবে আসেন হাসান মাহমুদ। তিনি এসে চার রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন মিরাজকে। মিরাজও সেঞ্চুরির জন্য ছটফট করছিলেন। এই ছটফটের মাঝেই করে বসলেন ভুল। 

কাগিসো রাবাদার বলে মিরাজও খোঁচা মেরে বসলেন। তাতে তার সেঞ্চুরি হাতছাড়া। বাংলাদেশও শেষ হলো ৩০৭ রানে। প্রোটিয়া পেসার রাবাদার করা শর্ট অফ লেংথে করা ডেলিভারিতে র‌্যাম্প শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন এই অলরাউন্ডার। সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থেকে শেষ হয় মিরাজের ইনিংস। সেই সঙ্গে শেষ বাংলাদেশের ইনিংসও। 

ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৭ রান করেছেন সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০১ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার ও এক ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান এসেছে জাকের আলির ব্যাট থেকে। 

এই টেস্টের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছিল ব্যাটিং বিভাগ। অবশ্য এই সিরিজের আগে ভারত সফরেও একই দৃশ্যায়ন দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। চেন্নাই থেকে কানপুর—সব মাঠেই বাংলাদেশ ভুগেছিল ব্যাটিং নিয়ে। বিশেষ করে টপ অর্ডার। ক্রিকেটে টপ অর্ডার বলতে যে কিছু আছে সেটাই যেন ভুলতে বসেছেন ক্রিকেটাররা। প্রতি নিয়ত দায়িত্ব নিতে হয় মিডল অর্ডার বা লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের। 

এই টেস্টেও ব্যতিক্রম নয়। প্রথম ইনিংসে ভরাডুবির পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যেখানে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয় সেখানে সেই শঙ্কা ছাপিয়ে তার ব্যাটে তৃতীয় দিনও পার করে দেয় বাংলাদেশ। 

জাকেরকে নিয়ে মিরাজ টপকেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রান। বাংলাদেশলেও এনে দিয়েছেন লিড। সম্ভাবনা জাগিয়েছেন নিজের সেঞ্চুরির। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। মিরাজ আউট হয়ে ফেরেন। বাংলাদেশের বড় লিডের আশাও ভেস্তে যায়। নিজেদের মাঠেই এবার বড় হারের লজ্জা নিয়ে খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার মিশন শান্তদের সামনে। 

এই টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার আগে টস জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুই ইনিংসে ৯টি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। কেশভ মাহারাজ নিয়েছেন দুই ইনিংসে ৬টি। বাংলাদেশের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।