ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা কম জল পাওয়ার কারণে কী কী সমস্যা হয় তা নিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বসেছেন। শুক্রবারও বৈঠক হবে।
মঙ্গলবার ফারাক্কায় জল পরিমাপের পর বৃহস্পতিবার কলকাতার এক হোটেলে বৈঠকে বসে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমিটির প্রতিনিধিদল। এই বৈঠকে গঙ্গার জলবন্টন চুক্তি অনুযায়ী জল ভাগাভাগি নিয়ে কথা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব মোহাম্মদ আবুল হোসেন ফারাক্কাতে ডিডাব্লিউকে জানিয়েছিলেন জল বণ্টন নিয়ে সন্তুষ্ট তারা। তবে তিনি এও জানান, এবছর জল প্রবাহ কম থাকার জন্য কম জল পাচ্ছে দুই দেশ।
জল কম পেলে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে সেচের সমস্যা হয়। জীববৈচিত্রের সমস্যা হয়। সুন্দরবন অঞ্চলে সমস্যা হয়। সেগুলো আলোচনায় জানানো হয়। জলপ্রবাহ কম থাকলে ভারতও প্রভাবিত হয়। জল কম থাকলে ভাগাভাগি কম করতে হবে, এই টেকনিক্যাল বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা হয় বলে জানায় সূত্রটি।
বৈঠকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ও জল-শক্তি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ অফিসার শরত চন্দ্র, ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডেসহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আবু সৈয়দ, মেদরি জাহান, মোহাম্মদ সামসোজ্জাহানসহ অন্যান্যরা। আগামীকাল যৌথ নদী কমিশনের টেকনিক্যাল বৈঠক। এই বৈঠকে দুই দেশেরই আরও কয়েকজন প্রতিনিধির যোগ দেয়ার কথা।
জলবন্টনের পর ৭ মার্চের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি, বন্যা রিপোর্ট, সীমান্ত নদীগুলিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত সেই সভায় আলোচিত হওয়ার কথা।
আরটিভি