
দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত, এর পরদিনই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তার কয়েকদিন পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই ৩ টি দিবসের বাজার ধরতে সম্পুর্ণ প্রস্তুত ঝিনাইদহের ফুলচাষীরা। দিবসগুলো উপলক্ষে ফুল বিক্রি করে সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব কষবেন তারা। শুধু জানুয়ারী-ফেব্রæয়ারীতেই প্রায় শত কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের ।
সরেজমিনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ফুল বাজার গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে এ বাজার । বাজারে গেলেই বোঝা যাবে চলছে এলাহী কান্ড । কেউ এসেছেন সাইকেলে করে, কেউবা মোটরসাইকেলে, বড় কৃষকরা নিয়ে এসেছে ফুল স্ক্রুটার কিংবা ভ্যানে করে। সারি সারি ফুল বিক্রির এমন দৃশ্য দেশে খুব কমই দেখা মিলবে। টার্গেট সামনের আগত ৩ দিবস । বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখেই সর্বোচ্চ দাম পাওয়ার প্রতিযোগিতায় কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। মাত্র দেড় ঘন্টার এ বাজারে এখনই বিক্রি হচ্ছে ২২ লাখ টাকার ফুল।
ঝিনাইদহ গান্না বাজার ফুল চাষী ও ব্যবসায়ী দাউদ হোসেন আশা করছেন সামনের দিনগুলোতে বিক্রি হবে ৫০-৬০ লাখ টাকার ফুল। তিনি জানান, বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে গাঁদা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধাসহ নানা রঙের ফুল ও তার গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। ফুলের কড়ি ধরে রাখতে আর ফলন ভালো পেতে বাগানগুলোকে রাখা হয়েছে স্বযতেœ।
ঝিনাইদহ ফুলচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি জামির হোসেন জানান, ফুলের দাম ভালো । সামনের দিনে আরো ভালো হবে আশা করছে তিনি। গতমাস ও এ মাসে প্রায় শত কোটি টাকার ফুল ঝিনাইদহ থেকে ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি আজগর আলী জানান, ফলন ভালো পেতে প্রশিক্ষণসহ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা । এ বছর সমগ্র জেলায় ফুলের চাষ হয়েছে ২৫৪ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে এবছর । যা গতবছর ছিল মাত্র ৬৮ হেক্টর জমিতে।
তিনি আরো জানান, জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও সদর উপজেলার প্রায় ১০টি বাজার থেকে প্রতিদিন এ ফুল ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র বাংলাদেশে।