News update
  • Sea of Mourners Gathers to Pay Tribute to Khaleda Zia     |     
  • State mourning begins, state funeral for Khaleda Zia at 2 pm     |     
  • Kamal Hossain: Khaleda Zia was ‘a patriot and democratic guardian'     |     
  • High medicine prices threaten healthcare of poor communities     |     

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড রাজশাহীতে ৮.৪

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আবহাওয়া 2025-12-31, 9:17am

228426c43d28806f47c8797bd25eaf82260df86077c0a16b-8d40e50ff5ae3efc4ab96826aea7c93f1767151031.jpg




গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা ও দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় রাজশাহী অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ।

ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাসে 

এ দিকে গত তিন দিন ধরে পদ্মা পাড়ের এ জেলায় দেখা নেই সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাসে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের দাপট। এতে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে রাত্রীযাপন করছেন ছিন্নমূল মানুষগুলো। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।

দিনমজুর নাজমুল ভোরে কাজের সন্ধানে চারঘাট উপজেলা থেকে এসেছেন রাজশাহী নগরীর তালাইমারীতে। তিনি বলেন, ‘আজ খুবই ঠান্ডা। এর কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তাই কাজও হলো না।’

তিনি জানান, আগে যেখানে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন কাজ পাওয়া যেত, এখন এই শীতে সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন কাজ মেলে না।

রিকশাচালক জাকির আলী জানান, হুহু করে বাতাস বইছে, ঠান্ডা লাগছে। এখন খুব কষ্টে দিন কাটছে।

নগরীর ভদ্রা বস্তি এলাকার ৭০ বছরের মর্জিনা বেগম জানান, ইরাম জাড় আর কোনোদিন পড়েনি। আগে মানুষ কম্বল-টম্বল দিলেও এবার কেউ আসেনি। এই জাড়ে টিকে থাকা দায়। এখন প্রতিদিনই সন্ধ্যা নামার পরপরই নগরী ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বিকেলের পরপরই বন্ধ হচ্ছে বেশিরভাগ দোকানপাট।

রাজশাহী বানেশ্বরের তুষার আলম জানান, শহরের থেকেও বেশি শীতের প্রভাব পড়েছে গ্রামে।  একইসঙ্গে শহরের তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে এসব অঞ্চলে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ও বয়স্করা রোগে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, মেঘ আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাত ৩টা থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির অনুভূতি হয়। এতে রাজশাহীসহ উত্তর পশ্চিমের এলাকাগুলোতে এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন বিরাজ করবে।’